কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে - ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি
কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে ও ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি এই সম্পর্কে ধারণা আছে ? যদি না থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে এই বিষয়ে আপনার পুরোপুরি ধারণা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
তাহলে আপনি নিজে
ডেঙ্গু
থেকে বাঁচতে পারবেন এবং আপনার পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনদেরও ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন
করতে পারবেন। আপনার যেসব বিষয়গুলো জানতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি,
কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে, ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির উপায়, ডেঙ্গু জ্বর
প্রতিরোধের উপায়, ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কিনা, ডেঙ্গু জ্বর ভালো করার
ঘরোয়া উপায়, এবং আপনার জ্বর কোন পর্যায়ে গেলে সেটা পরীক্ষা করতে হবে আরো কিছু
তথ্য। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তির সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা
করব।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি:
আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হই। হতে পারে সেটা
আমাদের ভুল চলা-ফেরার কারণে, হতে পারে খারাপ খাবার কারণে, হতে পারে আবহাওয়া
পরিবর্তন এর কারণে, হতে পারে কোন বিষাক্ত প্রাণীর কামড় খাওয়ার কারণে এইরকম আরো
অনেক কারন-ই হতে পারে। সেইরকম ডেঙ্গু ও একটি প্রাণী, যেটি কে আমরা মশা বলে চিনে
থাকি। তো এই মসার কারনেই ডেঙ্গু রোগটি হয়।
আরো জানুন: অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার উপায়
আর এই মশার নাম এডিস মশা। মশা বিভিন্ন ময়লা পানিতে থাকে ডিম দেয় সেইখান থেকে মশার উৎপত্তি হয়। আবার অন্ধকার ময়লা জঙ্গল যায়গা থেকেও হতে পারে। মশার বিভিন্ন জাত আছে তার মধ্যে একটি হলো ডেঙ্গু। আর এই ডেঙ্গু মাশার কামড় থেকেই আমাদের শরীরে হয় ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জর। আসুন এইবার জেনে নি কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে, ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি
- জ্বরের শুরুতে জ্বরের তাপমাত্রা থাকে ১০১ থেকে ১০৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট পর্যন্ত।
- ডেঙ্গু জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণত শরীরে থাকে ৭ দিন।
- ৪ থেকে ৫দিন পর জ্বরটা কিছুটা কমে যায়, কিন্তু ২ দিন পর আবার পুনরায় অধিক মাত্রায় জ্বর আসে।
- তীব্র মাথাব্যথা হয়।
- চোখের পেছনে ব্যাথা হয় এবং চোখের সাইডে।
- কোমরে ব্যথা অথবা মাংসপেশিতে ব্যথা।
- হাড় ভেঙে যাওয়ার মত শরীরে ব্যথা হয়।
- খাবারের রুচি কমে যায়।
- প্রচন্ড পেট ব্যথা করে।
- খাবার খাওয়ার পরে বমি হয়ে যায়।
- শরীরের র্যস দেখা দিতে পারে।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে।
- শরীরের দুর্বলতা দেখা দেওয়া।
- দাঁত ব্রাশ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে ও নাক দিয়েও রক্ত পড়তে পারে।
আশা করি আপনারা জানতে পেরে গেছেন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো কি কি। এইসব
লক্ষণগুলো আপনার শরীরের দেখা দিলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি ডেঙ্গু জ্বরে
আক্রান্ত হয়েছেন। উপরোক্ত সবই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ অথবা বলতে পারেন ডেঙ্গুর
লক্ষণ।
আসুন এবার জেনে নেই কখন আপনি বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। অনেক সময় অন্য
অসুখের ক্ষেত্রেও এখানকার কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সেই জন্য আপনাদের জন্য
আমি এই আর্টিকেলটি লিখেছি কখন বুঝবেন আপনার ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।
কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে:
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন এখন জানবেন কখন
বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে। প্রতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত
ডেঙ্গুর আবির্ভাব দেখা যায়। ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার মূল লক্ষণ হল হঠাৎ করে জ্বর
আসা। জ্বর আসার প্রথম দিন অথবা দ্বিতীয় দিন ঝড়ের তাপমাত্রা থাকবে অনেক গুণ।
হঠাৎ করে যদি বুঝতে পারেন আপনার পুরো শরীর ব্যথা সেটা হতে পারে অস্থির ভিতরে
ব্যথা। এমন কি আপনার শরীরের কোথাও কোথাও র্যস আসো দেখা দিতে পারে। এছাড়াও
যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার শরীরের রক্তচাপ অনেকটা কমে গেছে এবং সেটা অনেক
জটিল ভাব দেখা দিছে তাহলে বুঝতে হবে আপনি ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হয়েছেন।
এমনকি সেটা রক্তের অনুচক্রিকা কমে গিয়ে রক্তক্ষরণও হতে পারে। আশা করি বুঝতে
পেরেছেন কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে আপনার। ডেঙ্গু জ্বর বুঝতে পারলে খুব
দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি না:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন কারণে জ্বর আসতে পারে। জ্বর বিভিন্ন
ধরনের রয়েছে আমি সব ধরনের জ্বরের ক্ষেত্রেই গোসল করার ব্যাপারে বলছি। আমাদের
দেশের মানুষদের এরকম ধারণা জ্বর হলে গোসল করা যাবে না। সবাই ভাবে গোসল করলে
হয়তোবা জ্বরের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে যে কারণে কেউ গোসল করে না এমনকি
অন্যদের গোসল করতেও দেয় না।
তবে জ্বর হলে এমনটি
বিজ্ঞানের
ভাষায় কোথাও লেখা নেই জ্বর হলে গোসল করা যাবে না। আপনারা নিঃসন্দেহে গোসল
করতে পারেন। তবেই গোসল করাটা প্রতিদিন করবেন না। দীর্ঘদিন জ্বর থাকলে আপনি
যদি গোসল না করেন আপনার শরীরটা আপনি আরো দুর্বল মনে করবেন। সেক্ষেত্রে আপনি
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। এছাড়াও গামছা ভিজিয়ে পুরো
শরীর মুছতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার দেখানো ডাক্তারের পরামর্শ সবসময় মেনে
চলবেন।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে:
কমলা: কমলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যেটা ডেঙ্গু জ্বর থেকে
মুক্তি পেতে সহায়তা করে। তাই যদি আপনার ডেঙ্গু শনাক্ত হয় তাহলে প্রচুর
পরিমাণ কমলা খাবেন।
ডালিম: ডালিম আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। এমনকি আরও রয়েছে যথেষ্ট
পরিমাণে মিনারেল যা শরীরের প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। তাই জ্বর হলে
যথেষ্ট পরিমাণে ডালিম ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ডাবের পানি: ভেঙ্গে জ্বর হলে শরীরের সৃষ্টি হয় ডিহাইড্রেশন বা পানি
শূন্যতা তাই এ সময় পানি শূন্যতার অভাব পূরণ করতে প্রচুর পরিমাণে ডাবের পানি
খান। ডাবের পানিতে থাকে ইলেকট্রোলাইটের মত পুষ্টি উপাদান যে কারণে আপনি
প্রচন্ড গরমে ডাবের পানি খেলে আপনার শরীরের সতেজ রাখবে।
পেঁপে পাতার জুস: ডেঙ্গু জ্বর হলে পেঁপে পাতার জুস খুব উপকারী। পেঁপে
পাতার জুস ও ডালিমের মত আমাদের শরীরে প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। পেঁপের
মত পেঁপের পাতাও আমাদের অনেক উপকারে আসে। পেঁপে পাতার এই জুস আপনারা ঘরে বসেই
বানাতে পারেন। ডেঙ্গু জ্বর হলে চেষ্টা করবেন প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০এম.এল জুস
খাওয়ার।
হলুদ: ডেঙ্গু জ্বরে হলুদ খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধের
সাথে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেতে পারে। এটি আপনাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে
তুলবে। দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেলে আমাদের ত্বক ফর্সা হয়।
মেথি: ডেঙ্গু জ্বরে মেসি খুবই কার্যকরী। মেথি আপনার ঘুম ভালো করবে
এমনকি জ্বর কমাতেও সাহায্য করবে। আমাদের জ্বর হলে অনেক সময় আমাদের ঘুম আসে
না ঘুমোতে অনেক সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা মেথি গ্রহণ করবেন। তবে ডেঙ্গু
জ্বরের ক্ষেত্রে মেথি গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
ব্রকলি: ব্রকলি হল ভিটামিন কে এর ভালো একটি উৎস। এটিও আমাদের
প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে। সেই জন্য ডেঙ্গু জ্বর হলে অবশ্যই ব্রকলি খেতে
পারেন।
পালংশাক: পালংশাকে থাকে অতিরিক্ত ভিটামিন ও আয়রন। পালংশাকে প্রধান যে
জিনিসটা থাকে সেটি হল ওমেগা থ্রি ফ্যটি এসিড। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে এবং প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করে।
কিউইফল: কিউই ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সেই সাথে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে পটাশিয়াম। যা উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং লোহিত কণিকা
বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাওয়া যাবেনা:
তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার: আমরা অনেকেই আছি যারা বেশি বেশি তৈলাক্ত ও ভাজা
খাবার গুলো সবসময় ই বেশি পছন্দ করে থাকি। যদিও তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার আমাদের
শরীরের জন্য মোটেও ভালো না। এটা আমাদের শরীরে চর্বি বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য
তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার আমাদের শরীরের জন্য বর্জন করাই ভালো। আর ডেঙ্গু জ্বর
হলে পুরোপুরি ভাবে তৈলাক্ত ও ভাজা খাবার বর্জন করতে হবে।
মসলাযুক্ত খাবার: আমাদের মধ্যে অনেকেই তরকারিতে বেশি মসলা দিয়ে খাবার
খেতে পছন্দ করেন। অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার আপনার পাকস্থলীর উপরের অংশকে
আস্তে আস্তে নষ্ট করে দেয়। সেজন্য চেষ্টা করবেন ডেঙ্গু হলে মসলাযুক্ত খাবার
না খাওয়ার।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়: ডেঙ্গু হলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার
খেতে হবে। তার মধ্যে হতে পারে ফলের জুস, কুসারের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি। তবে
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়ও গুলো পরিহার করতে হবে। যেমন রয়েছে চা, কফি আরও
ইত্যাদি। চা ও কফি আমাদের হার্টের জন্যও ক্ষতিকর।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের উপায়:
আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে ও ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের উপায় ও আপনাকে জানতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধ সাধারণত দুই ভাবে করা যায়। একটা হল ডেঙ্গু মশার বংশবিস্তার প্রতিরোধ করে আরেকটি হলো ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করে। আসুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের উপায় গুলো বিস্তারিত।
-
জমে থাকা পানিতে এডিস মশা হয়। কোন অবস্থাতেই পানি যেন, না জমে সেদিকে
খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে তাতে লবণ ছিটিয়ে দিন। কারণ লবণ পানিতে এডিস মশা
জন্মাতে পারে না।
-
সকালে ও বিকালে এডিস মশা বেশি কামড়ায় তাই জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত
বাইরে বের হলে ফুলহাতা জামা ও ফুল প্যান্ট পড়ুন। পা ঢেকে জুতা পরুন।
-
দিনে ও রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমান। সাদ বা বারান্দায় বাগান থাকলে বেশি
সতর্ক থাকুন। আশেপাশে নির্মানাধীন ভবন বা ডোবা থাকলে বাড়তি সতর্ক থাকতেই
হবে।
-
পরিষ্কার জমানো পানিতেই এডিস মশা জন্মায়। তাই পানি ফেলে দেওয়া ছাড়া আর
কোন বিকল্প নেই। মনে রাখবেন ডেঙ্গুর কোন ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই।
ডেঙ্গু জ্বর ভালো করার ঘরোয়া উপায়:
যেহেতু ডেঙ্গু জ্বরের জন্য একক ভাবে কোনো ভ্যাকসিন অথবা কোন একক চিকিৎসা বা
বলতে পারেন কোন ওষুধ এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। সবার আগে ডেঙ্গু জ্বরের
আক্রান্ত রোগীকে ইলেকট্রোলাইট পানীয় দিতে হবে। যেমন ডাবের পানি, স্যুপ,
স্যালাইন এবং বিশুদ্ধ পানি এগুলো বারবার খেতে হবে।
ডেঙ্গু হলে শরীরের প্লাটিলেট কমে যায় যে কারণে প্রচুর পরিমাণ প্লাটিয়েট
বাড়ানো যে খাবারগুলো আছে সেগুলি খেতে হবে। যেমন পেঁপে, বিভিন্ন ফল, পেঁপে
পাতার রস ও আনার এরকম আরো অনেক খাবার আছে যেগুলো শরীরের প্লাটিলেট বৃদ্ধি
করে। প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে এবং ভিটামিন সি জাতীয় যত ফল আছে সব ধরনের
ফলগুলো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেমন কমলা, লেবু, আনারস এবং আরো
ইত্যাদি।
এগুলো খাবার শরীরে প্লাটিলেট বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। আপনাকে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ঘুমাতে হবে এবং বিশ্রাম করতে হবে। আপনার জ্বরের উপর ভিত্তি করে আপনি
প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধগুলি খেতে পারেন। তবে অবশ্যই প্যারাসিটামল ব্যতীত
অন্য কোন ব্যথার ওষুধ সেবন করবেন না। যেহেতু আপনি এ সময় প্রচুর পরিমাণে তরল
জাতীয় খাবার খাবেন সেহেতু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন আপনার প্রস্রাব কতটুকু
হচ্ছে।
প্রাপ্তবয়স্ক হলে আপনারা দুই থেকে তিন লিটার তরল পানিও খাবেন। ডেঙ্গু জ্বর
হলে অবশ্যই আপনার বমি বমি ভাব হবে। সে ক্ষেত্রে আপনারা বাজার থেকে বমি বন্ধ
করার
ওষুধ
কিনে খেতে পারেন। এতে করে আপনার বমি হওয়াটা বন্ধ হয়ে যাবে।
তাহলে আমরা জানলাম ডেঙ্গুর জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি ও কখন বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর
হয়েছে এমনকি ডেঙ্গু জ্বর ভালো করার ঘরোয়া উপায় গুলো আপনাদের জানালাম।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডেঙ্গু জ্বর যদি ভালো না হয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় হয়ে যায়
অবশ্যই একটি ভালো চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।
লেখকের শেষ কথা:
আশা করি আমি আপনাদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো কি কি ও কখন বুঝবেন ডেঙ্গু
জ্বর হয়েছে এবং ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিরোধের উপায় কি কি খেতে হবে আর কি কি
খাওয়া যাবেনা এই বিষয়ে সবকিছু জানাতে পেরেছি। পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার যদি কোন বিষয়ে জানার থাকে আমাদের
পোস্টে কমেন্ট করতে পারেন অথবা আমাদের যোগাযোগ পেজে গিয়ে আমাদের ইমেইলে
ইমেইল করুন।