পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ - চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়
কিছু খেতে পারি না শুধু বুক জ্বালাপোড়া করে এসিডিটি হয় এর সমাধান কি ? আমাদের জানতে হবে চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায় ও পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ। অনেক ওষুধই আছে যেইগুলো আমাদের পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ হিসেবে কাজ করে। চলুন জেনে নি পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ গুলো কি কি ও চিরতরে গ্যাস দূর করার উপায়।
সূচিপত্র:
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় । এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাদের সব সময় গ্যাসের ওষুধ নিয়েই কাছে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা প্রতিটি ওষুধেরই সাইড ইফেক্ট আছে। সেই জন্য আমাদের সব সময় ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। গ্যাসের ওষুধ ছাড়াও এমন অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আমরা এই গ্যাস থেকে পরিত্রান পেতে পারি।
সেটা হতে পারে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করে আবার কিছু খাবারের মাধ্যমে ব্যায়ামের মাধ্যমে ও হাদিস-কোরআনের মাধ্যমে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই কি কি উপায়ে পেটের গ্যাস কমানো যায় ও চিরতরে গ্যাস দূর করা যায়।
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয় । এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাদের সব সময় গ্যাসের ওষুধ নিয়েই কাছে রাখতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা প্রতিটি ওষুধেরই সাইড ইফেক্ট আছে। সেই জন্য আমাদের সব সময় ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। গ্যাসের ওষুধ ছাড়াও এমন অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আমরা এই গ্যাস থেকে পরিত্রান পেতে পারি।
সেটা হতে পারে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করে আবার কিছু খাবারের মাধ্যমে ব্যায়ামের মাধ্যমে ও হাদিস-কোরআনের মাধ্যমে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই কি কি উপায়ে পেটের গ্যাস কমানো যায় ও চিরতরে গ্যাস দূর করা যায়।
আমাদের অনেকেরই খাবার পর বুকের মাঝখান থেকে জ্বালাপোড়া করে। এই রোগটাকে আমরা অনেক ধরনের নাম দিই গ্যাস্ট্রিক, আলসার, এসিডিটি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স ইত্যাদি। তবে ডাক্তারি ভাষায় এই রোগের নাম অনেক বড় Gastroesophageal Reflux Disease (GERD) সমাধান জানতে এর নাম মুখস্ত করতে হবে না।
কেন এই সমস্যাটা হয় সেটা আগে অল্প করে বলবো তারপর বলব বাসায় বসেই এ সমস্যা কমানোর ৭ উপায়, আর কখন অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। এগুলো কোনটাই আমার মনগড়া কথা না সবগুলো গবেষণা থেকে তুলে ধরা।
খুব জ্বালাপোড়ার পাশাপাশি মুখে টকটক লাগতে পারে । পেট ফাঁপা লাগতে পারে, বমি ভাব হতে পারে বারবার ঢেকুর আসতে পারে। আবার কারো কারো বারবার কাশি বা হেঁচকি হয়। কন্ঠ কর্কশ হয়ে যায় শ্বাসে দুর্গন্ধ আসে ।
পেটের গ্যাস কমানোর ঔষধ:
- Renzo
- Aspra
- Sb-Omec
- anasec
- Asprs
- Aumi
- Cosec
- Deu
- Emez
- Eupi
- Gep
- Gem
- Omeprazol
- Healer
- Losectil
- Om
- Ome
- Omecron
- Omegut
- Omep
- Rome
- Seclo
- Sectil
- Remmo
- Maxpro
কেন এ সমস্যাটা হয় সেটা দিয়ে শুরু করি। আমরা যখন কিছু খাই সে খাবার পাকস্থলীতে যাই। পাকস্থলী কিছু এসিড এবং আরো কিছু জিনিস তৈরি করে খাবার হজম করার জন্য। এসিড আর খাবার দুটোই পাকস্থলী থেকে নিচের দিকে নামতে থাকে। তবে যদি এসিড নিচের দিকে না নেমে গলার দিকে উপরে উঠে আসে তখন আমরা বুকে জ্বালাপোড়া অনুভব করি।
তাহলে পাকস্থলির এসিড কেন উপরের দিকে চলে আসেন নিচে না নেবে? কোন কারণ ছাড়াই এমন হতে পারে আবার কিছু কিছু জিনিস এই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বা বাড়িয়ে দিতে পারে যেমন নির্দিষ্ট কিছু খাবার। কারো কারো বেশি মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে জ্বালাপোড়া শুরু হয় আবার কারো কফি খেলে অসুবিধা শুরু হয়। একেক জনের একেক রকম হতে পারে।
যারা ধূমপান করে তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। যদি অনেক টেনশনে থাকেন সেখান থেকেও হতে পারে। আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তখন এই সমস্যা বেশি হতে পারে। যারা গর্ভবতী তারা প্রায়ই এ সমস্যায় ভুগেন। যাদের "হাইয়াটাস হার্নিয়া" নামেরই একটা রোগ আছে যেখানে পাকস্থলীর কিছু অংশ বুকের উপর চলে আসে তাদের মধ্যে এই বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা দেখা যায়। আর নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ আছে যেগুলি সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রফেন ইত্যাদি।
আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধগুলি খান তাহলে কোন ভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ গুলো বন্ধ করবেন না। আপনার ডাক্তারকে জানান যে ওষুধ শুরু করার পরে মনে হচ্ছে জ্বালাপোড়ার সমস্যাটা বেড়ে গেছে। ডাক্তারি আপনাকে ওষুধ বদলে দিতে পারেন অথবা জ্বালাপোড়ার জন্য অন্য ওষুধ দিতে পারেন।
আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসে কিছু পরিবর্তন করলে কিন্তু আমরা নিজে নিজেই এ সমস্যা অনেক কমিয়ে আনতে পারি। চলুন জেনে বাসায় বসে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ৭ টি উপায়
১. একবারে পেট ভরে খেলে এ সমস্যা বেশি হয়। তাই অনেক খাবার একসাথে খাবেন না। সারাদিনে ভাগ ভাগ করে অল্প অল্প খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। একটু বুঝিয়ে বলি বেশি খেলে পাকস্থলী ভরে ওঠে, আপনি একটা বেলুনের কথা চিন্তা করতে পারেন বাতাস দিলে যেমন বেলুন ফুলে, কিছুটা তেমনই খাবার ঢুকলে পাকস্থলী টাও প্রসারিত হয়। একবারে অনেক খাবার খেলে পাকস্থলী অনেক ফুলে ওঠে। আর তখন পাকস্থলীর ভিতরে অ্যাসিড উপরের দিকে উগরে আসতে পারে। আর শুরু হতে পারে বুক জ্বালাপোড়া।
২. খাবারের সময় অনিয়ম করবেন না। সময়মতো খাবার না খেলে পাকস্থলীর আরেকটা রোগ সম্ভাবনা বেড়ে যায়। নাম গ্যাস্ট্রাইটিস (Gastritis). এ রোগে পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত দেখা দেয়, ইনফেকশন হতে পারে. আর এই রোগ হলেও আপনার পেটে জ্বালাপোড়ার মত ব্যথা হতে পারে। আপনার পক্ষেতো বোঝা সম্ভব না জ্বালাপোড়া কোন কারণে হচ্ছে। তাই পাকস্থলী সুস্থ রাখতে আপনাকে নিয়ম করে সময়মতো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৩. অনেকের মাঝেই একটা ধারণা আছে, যাদের সমস্যা তাদের জন্য দুনিয়ার প্রায় সব খাবারই নিষেধ। শুধুমাত্র সিদ্ধ যাওয়া মসলা ছাড়া খাবার খেতে হবে, এই এ ধারণাটা কিন্তু ঠিক না। তাহলে সঠিক টা কি? একেক জনের জন্য একেক ধরনের খাবারে সমস্যা সৃষ্টি করে। আরে আপনার বুকে জ্বালাপোড়া করে আপনি শুধু সেই সব খাবার এড়িয়ে চলবেন। সেটা হতে পারে মশলা দেয়া অতিরিক্ত তেল দেয়া খাবার। আপনার প্রিয় চপ পুরি, মুড়ি চানাচুর, চটপটি এমনকি ডাল ভাত। আপনার কোন খাবারে সমস্যা হয় সেটা আপনাকে খুজে বের করতে হবে আর এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. রাতের খাবারটা আগে আগে সেরে ফেলবেন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন-চার ঘণ্টা আগে। আপনি যদি এগারটার দিকে ঘুমাতে যান, তাহলে কমপক্ষে সাড়ে সাতটায় খেতে বসে যাবেন। আটটার মধ্যে খাওয়া শেষ। তারপর কিন্তু রাত এগারোটা পর্যন্ত জেগে থাকতে হবে। ভাত খাওয়ার পরে অনেকেরই ঘুম আসে সেটা ফাইট করতে হবে। এটা কেন করবেন? ভর পেটে চিৎ হয়ে শুলে, পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড উপরের দিকে আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাই। তবে একটা কথা বলে নি কিছু না খেয়ে তিন-চার ঘন্টা জেগে থাকা কিন্তু একটু কষ্টেরই বটে। মনে হয় অল্প কিছু খেয়ে ফেলি তবুও নিজেকে আটকাতে হবে।
৫. ঘুমানোর সময় বা বিছানায় শোয়ার সময় মাথা আর বুক ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উঁচুতে রাখবেন কোমরের চেয়ে। সেটা পাকস্থলীর অ্যাসিড উপরে উঠা থামাবে। বালিশ দিয়ে উঁচু করবেন না। কারণ এতে শুধু আপনার মাথাটাই উঁচু হয়। বরং তোষকের নিচে বা খাটের নিচে কিছু দিয়ে খাটের একটা দিক উঁচু করে নিবেন এবং সেই দিকে মাথা দিবেন। যাদের রাতের বেলা জ্বালাপোড়া সমস্যা বেশি হয় তাদের জন্য এই ধাপটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর খেয়াল রাখেন ঘুমের সময় দেহের ভঙ্গিটা যেন স্বাস্থ্যকর থাকে। আঁকাবাঁকা অসুস্থকর হলে আবার শরীরে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। বালিশ বা বালিশের উচ্চতা পরিবর্তন করলে অনেকেরই ঘাড় ব্যথা হয়।
৬. এবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলবো। সেটা শুধু আপনার বুকে জ্বালা পুরাই কমাবে না আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। আপনার যদি ওজন বেশি হয় তাহলে সেটা কমানোর চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ওজন অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ইত্যাদি অনেক কিছুই অতিরিক্ত ওজনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই ওজন কমে ফেলা এবং কমানোর পর সেটা ধরে রাখার শ্রেয়। আপনার বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যার সমাধানেও এটা অনেক সাহায্য করবে।
৭. ধূমপান বন্ধ করতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা ধূমপান কমিয়ে ফেলে বা বন্ধ করে দেয়, তাদের এই সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। আর ধূমপান ও নানা ধরনের রোগের কারণ, তাই অভ্যাসটা পর্যাগ করাই শ্রেয়।
এতক্ষণ বললাম জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন আনার কথা। তবে সবার রোগ এমন অবস্থায় থাকবে না যে শুধু জীবন আচরণের পরিবর্তনের সেরে যাবে। ওষুধের সাহায্য দরকার হতে পারে, তবে ওষুধের পাশাপাশি এই ধাপগুলো মেনে চলতে হবে।
কারো পেট ফেঁপে যাওয়া, বুক বা গলা জ্বালাপোড়া , কারো আবার অনেক গ্যাসের সমস্যা। এসব সব সমস্যা থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে, পেটের গ্যাস বের করার কিছু ব্যায়াম আছে আর এই ব্যায়াম গুলা সবচেয়ে কার্যকর। বেশি ঔষধ খাওয়া শরীর এর জন্য ক্ষতিকর ঔষধ খাওয়ার চাইতে আপনি যদি, নিয়মিত নিচে উল্লেখিত ব্যায়াম গুলো প্রতিনিয়ত করেন তাহলে খুব সহজেই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
বেশ কিছু ব্যায়াম আছে যা পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্য থেকে এখানে ৩ টি উল্লেখ করা হলো:
১। হাঁটা: খাওয়া দাওয়ার পরে, শরীর খাদ্যকে ভেঙ্গে আস্তে আস্তে শরীরের যেখানে প্রয়োজন সেখানে পুষ্টি পাঠাতে শুরু করে দেয়। Dr. Dilgado বলেন, “হাঁটা এই প্রক্রিয়াটিকে খুব দ্রুত এবং সহজ করে তোলে”। খুব দ্রুত বা তাড়াতাড়ি খাবার হজম হলে পেটের গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। আপনি যদি প্রায় সময় পেট ফাঁপে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন তাহলে খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে ১০ মিনিট হাঁটুন। বিশেষ করে রাতের খাবারের পর বেশী পেট ফেঁপে থাকে তাই রাত এ খাবার পর কিছুক্ষণ হাটুন।
২। পেটের ম্যাসেজ: ঘড়ির কাঁটার দিকের মতো আস্তে আস্তে পেটে ম্যাসাজ করুন তাহলে আপনার অন্ত্রের মাধ্যমে গ্যাসের যে চলাচল সেটা আস্তে আস্তে উদপাদিত করতে সাহায্য করবে এবং সেটা পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে যাবে।
৩। কোর এক্সারসাইজ: কোর এক্সারসাইজ আপনার মূল পেশীকে শক্তিশালী করে, যেমন ক্রাঞ্চ বা প্লাঙ্ক এর মাধ্যমে, গ্যাসের সমস্যা কমাতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে এটি খুবই কার্যকরী ব্যায়াম।
প্রিয় পাঠক পেটের সমস্ত গ্যাস বের করুন তিন মিনিটের মধ্যে। পেটে জমে থাকা গ্যাস একেবারেই দূর হবে ওষুধে নয় এই ১০ টি ঘরোয়া উপাদানে। নিচে এগুলো উল্লেখ করা হলো
১। জিরা: যেটি আমরা আমাদের রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। শুধুমাত্র মসলা হিসেবে আমরা যে পদ্ধতিতে রান্না করছি, এই পদ্ধতিতে জিলা খেলে জিরার কোন গুনাগুন ঠিক থাকে না, তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু জিরার এমন আশ্চর্যজনক গুণ রয়েছে, এটি পেতে হলে আপনাকে কাঁচা জিরা খেতে হবে। এটি শরীর থেকে ২৪ টিরও বেশি রোগ দূর করতে পারে। আজকে শুধুমাত্র আমরা গ্যাস ও এসিডিটি দূর করতে জিরার ব্যবহার সম্পর্কে জানব।
এক্ষেত্রে কাঁচা জিরা বা গুড়ো জিরা দুটো ব্যবহার করতে পারবেন। যদি আপনার প্রচন্ড গ্যাস হয় সে ক্ষেত্রে আপনারা কাঁচা জিরা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিবেন আর যদি গুড়ো জিরা থাকে তাহলে তো কোন সমস্যাই নেই। এবার হাফ চা চামচ গুড়ো জিরা এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন । দেখবেন পাঁচ মিনিটের মধ্যে আপনার গ্যাস উধাও হয়ে গেছে।
২। শসা: শসা আমাদের পেট ঠান্ডা রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও ফ্লেভানয়েড উপাদান যা আমাদের পেটের গ্যাসের উদ্রেক একেবারে কমিয়ে দেয়।
৩। দই: দই হজম শক্তি বৃদ্ধিতে আমাদের সবচেয়ে বেশী সহায়তা করে। এতে করে আমাদের খুব দ্রুত খাবার হজম হয়ে যায়, ফলে আমাদের পেটে গ্যাস হওয়ার সমস্যা দূর হইয়ে যায়।
৪। পেঁপে: পেঁপেতে রয়েছে Papaya নামক এনজাইম যেটা আমাদের হজমশক্তি বাড়ায়।আমরা যদি নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করি তাহলে গ্যাসের সমস্যা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
৫। কমলা: কমলা আমাদের পাকস্থলীর যে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে সেটা দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে আমাদের গ্যাসের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তিপেতে পারি।
৬। কলা: কলা খেলে গ্যাস বা এসিডিটির সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার স্যালুবল ফাইবারের জন্য কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত ১-৪ টি কলা খান। এমনকি পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি নেই তাই নিয়মিত কলা খান।
৭। আদা: আদা সবচাইতে বেশী কার্যকরী Anti-Inflammatory উপাদান সমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা বা পেটে গ্যাস হলে, আদা কুচি কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খেয়ে নেন, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
৮। লবঙ্গ: ১/২টি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চুষলে একদিকে বমিবমি ভাব, বুক জ্বালা ও গ্যাস দূর হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মুখের যে কোনও রকম দুর্গন্ধ দূর হয়।
৯। পুদিনা পাতার পানি: এক কাপ পানিতে কিছু পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান এতে পেট ফাঁপা, পেটে ভুটভাট করা ও বমিভাব দূর করতে এর বিকল্প নেই।
১০। আমড়া: আমড়া টুকরো টুকরো করে রোদে রেখে দিয়ে খান এতে কাজে দেবে। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে আমড়া খুব উপকারী।