নির্ধারিত সময়েই হবে এইচএসসি পরীক্ষা - তারিখ পেছানোর আশঙ্কা নেই
চলতি বছরের ২০২৩ এ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা, রুটিন, ও আসন
বিন্যাস ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। গত ২ জুলাই বোর্ডের
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করেছে। আর গত ৮ জুন এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন
ও প্রকাশ করেছে।
নির্ধারিত সময়েই হবে এইচএসসি পরীক্ষা:
প্রকাশিত রুটিন অনুসারে, আগামী ১৭ আগস্ট থেকে বাংলা ১ম পত্রের মধ্যে দিয়ে শুরু
হবে এইচএসসি পরীক্ষা আর সেটা চলবে ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগামী ২০২৩
সালের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করনের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগে
রয়েছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, শিক্ষকদের অনেকেই আছেন যারা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকেন। অনেক
বিদ্যালয় কেন্দ্র হয়। এইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আন্দোলন করার কারণে এইচএসসি
পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা সেইটা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে রয়েছেন তারা।
এক পরীক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, পরীক্ষা যথাসময়ে হবে কিনা সেইটা নিয়ে তিনি ও তাদের
পুরো ব্যাচ উদ্বিগ্ন। এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে যে কোন ধরনের আপডেট আছে কিনা সব
সময় সেয় বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন তিনি ও তার সহপাঠীরা।
তবে এইবার এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বা স্থগিত হওয়ার কোন রকম সম্ভাবনা নেই বলে
জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ও ঢাকা
শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি (৩১ জুলাই) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন,
এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই হবে। পেছানোর কোন রকম চিন্তাভাবনা তাদের মধ্যে
নেই।
তিনি আরো বলেন, যে সকল শিক্ষকেরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন, তারা স্কুল পর্যায়ের।
কলেজে এর কোনও এতে করে প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয়না। পরীক্ষা পূর্বে
নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হতে পারে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা:
২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ন্যায় ২০২৩ সালের ও এইচএসসি পরীক্ষা ঐ
পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে নেওয়া হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গত (২০ জুন)
বিকাল বেলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ছিল।
বিষয়টি সম্পুর্ন নিশ্চিত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম বোর্ডের (NCTB) চেয়ারম্যান
অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম স্যার বলেন, ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষা আবার
পুনর্বিন্যাস করা নতুন সিলেবাসে হতে যাচ্ছে। এমনকি আগামী ২০২৪ সালের পরীক্ষা
টাও একই ভাবে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির
সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন , ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষাও পরিমার্জিত
সিলেবাসে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তটি এখন পর্যন্ত
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সেই বৈঠকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির
সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো.
সোলেমান খান বলেন, বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম
ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (NCTB) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, কারিগরি
অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মহসিনসহ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক
হাবিবুর রহমান ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড:
এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ৮ আগস্ট থেকে। আগামী ১৭ আগস্ট
থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এইবারের এইচএসসি পরীক্ষা। এর সুত্র ধরে শিক্ষা বোর্ড হতে
আগামী ৮ আগস্ট হতে পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হবে জানা গেছে। কেন্দ্রের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বোর্ড হতে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করবেন ৯ই আগষ্ট বা তাদের
সুবিধা মতো সময়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে তারা প্রবেশপত্র তুলে দিতে পারবেন।
(৩১ জুলাই) সোমবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা
নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সিগনেচার করা চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আগামী ৮ ও ৯ আগস্ট
বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজে অথবা অন্য কোনো
শিক্ষককে স্বাক্ষর সত্যায়িতসহ কেন্দ্রের আওতাধীন থাকা সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
প্রবেশপত্র অফিস চলাকালীন সেটা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
কোনো অবস্থাতেই শিক্ষক ছাড়া অন্য বাহিরের কাওকে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে না।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ
হলে, আবেদনপত্রে পরিচালক বডির সভাপতি, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার প্রতি স্বাক্ষর থাকতে হবে।
এছাড়াও জানানো হয়েছে, ৮ আগস্ট থেকে ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, গাজীপুর,
নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রবেশপত্র
পাবে। ৯ আগস্ট থেকে ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ,
মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রবেশপত্র যাচাই করে কোনো ধরনের
কম বেশি বা ত্রুটি হলে সংশোধন করার জন্য অবশ্যই ১০ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আবেদনপত্র জমা দিবে
সংশোধন করে নেওয়ার জন্য। পরীক্ষায় কোনো রকম যদি জটিলতার সৃষ্টি হয় তাহলে
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা প্রধানই দায়ী থাকবেন।