ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় - ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমার্জেন্সি পিল বলতে জরুরী গর্ভনিরোধক পিল বোঝায়। ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার
কত দিন পর মাসিক হয় ও ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে
আপনাদের জানাবো ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় ও ইমার্জেন্সি পিল
খাওয়ার নিয়ম । ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় এইটা জানা আমাদের
খুবই জরুরী।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় এবং ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার
নিয়ম সম্পর্কে না জানলে একজন মহিলা গর্ভবতী হয়ে যেতে পারে। ইমার্জেন্সি পিল
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে না জানা থাকলে যেকোনো গর্ভনিরোধক পিল খেয়ে কোন কাজে
আসবে না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক
হয়।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
জরুরী গর্ভনিরোধক পিল বা ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কিত একটি সাধারণ প্রশ্ন হল
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়। মাসিক চক্র এবং কখন পিল নেওয়া
হয়েছিল তার মতো পৃথক কারণের উপর নির্ভর করে সময় পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণভাবে, জরুরী পিল গ্রহণের পর ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাসিক হতে পারে।
আরো পড়ুন: MM kit খাওয়ার পর সাধারণত কত দিন রক্তপাত হয়
ইমারজেন্সি পিল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এবং এটির সময়সীমা বিভিন্ন রকমের। কোন
কোনটা ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিন পর্যন্ত কাজ করে আবার কোনটা ৫দিন এবং সর্বোচ্চ ৭দিন
পর্যন্ত কাজ করতে সক্ষম। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে।
ইমারজেন্সি পিল
ইমার্জেন্সি পিল হল জরুরী গর্ভনিরোধক পিল। ইমারজেন্সি পিল খেলে এটি গর্ভবতী হওয়া
থেকে মহিলাদের রক্ষা করেন। ভালোভাবে বলতে গেলে অরক্ষিত মিলন বা গর্ভনিরোধক
ব্যর্থতার পরে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ প্রতিরোধ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প
হল এই ইমারজেন্সি পিল। এই ইমারজেন্সি পিল সঠিক সময়ে সঠিকভাবে না খেলে আপনি
গর্ভবতী হতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম।
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম গুলো অনুসরণ না করলে বা সঠিক উপায়ে সঠিক সময়ে না
খেলে আপনার প্রেগনেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলুন যেনে নেওয়া যাক ইমার্জেন্সি
পিল খাওয়ার নিয়ম গুলো।
সময়ের সংবেদনশীলতা: ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিলগুলি সবচেয়ে
কার্যকর হয় যখন অরক্ষিত মিলনের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রহণ করা হয়।
বিভিন্ন ধরনের ইমারজেন্সি পিল পাওয়া যায়, যার মধ্যে কিছু ৭২ ঘন্টার মধ্যে
নেওয়া প্রয়োজন, অন্যগুলি সহবাসের পরে ১২০ ঘন্টা (5 দিন) পর্যন্ত নেওয়া
যেতে পারে। প্যাকেজিং নির্দেশাবলী পড়া এবং প্রস্তাবিত সময়সীমা অনুসরণ করা
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডোজ: বেশিরভাগ ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক বড়িগুলি একক-ডোজে বা
দুই-ডোজের পদ্ধতিতে আসে। প্রথম ডোজটি সহবাসের পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নেওয়া
হয়, এবং দ্বিতীয় ডোজটি ১২ ঘন্টা পরে দুই-ডোজের বড়ির জন্য নেওয়া হয়।
এক-ডোজের বড়িগুলি একক ডোজ হিসাবে নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করার উপায়
বয়স এবং প্রেসক্রিপশন: ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিলগুলি বিভিন্ন
বয়সের ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন রকম হতে পারে। যাইহোক, কিছু ব্র্যান্ডের একটি
নির্দিষ্ট বয়সের কম ব্যক্তিদের জন্য প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হতে পারে।
স্থানীয় প্রবিধানগুলি পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনে একজন স্বাস্থ্যসেবা
পেশাদারের সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তাহলে খুব সহজে বলতে গেলে অরক্ষিত মিলনের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বা ১২০ ঘন্টার
মধ্যে বিভিন্ন ঔষধ ভেদে এই ইমারজেন্সি পিলটি খেতে হবে। তবে মিলনের পরপরই
ইমারজেন্সি পিলটি গ্রহণ করা উত্তম। সে ক্ষেত্রে পিলটি খুব ভালোভাবে কাজ করে।
তাহলে আমরা জানলাম ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় ও
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম। চলুন এবার জেনে নিই ইমার্জেন্সি পিল কতবার
খাওয়া যায়।
ইমার্জেন্সি পিল কতবার খাওয়া যায়
ইমারজেন্সি পিল গর্ভনিরোধক পিল হিসেবে বিবেচিত। তবে এই পিলটি অরক্ষিত মিলনের
পর গর্ভনিরোধক হিসেবে এই পিলটি গ্রহণ করা হয়। সেহেতু বুঝতেই পারছেন
ইমারজেন্সি অবস্থাতেই ইমারজেন্সি পিলটি খেতে হয়। তবে এই পিলটি এক মাসে
সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ বার খেতে পারেন। তবে দুইবারের বেশি না খাওয়াই ভালো।
আরো পড়ুন: অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান
সে ক্ষেত্রে আপনার শরীরে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আশা
করি বুঝতে পেরেছেন ইমার্জেন্সি পিল কতবার খাওয়া যায়। তাহলে আমরা জানলাম
ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয় ও ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার
নিয়ম এবং ইমার্জেন্সি পিল কতবার খাওয়া যায়। চলুন এবার জেনে নেই ৭২ ঘন্টার
পিল এর নাম গুলো কি কি।
৭২ ঘন্টার পিল এর নাম
৭২ ঘন্টার পিল এর নাম বা তিন দিন পর্যন্ত কাজ করে এরকম পিলের নাম বুঝায়।
চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ৭২ ঘন্টার পিল এর নাম গুলো কি কি।
- Norix 1
- I-Pill DS
- EC-Pill
- Setfree
- Emcon 1
- Norpil
৭২ ঘন্টার পিল এর নাম গুলো এইখানে দেওয়া হলো। এর সবগুলো ট্যাবলেটে
লেভোনরজেস্ট্রেল রয়েছে, একটি সিন্থেটিক হরমোন যা ডিম্বস্ফোটন বিলম্বিত বা
বাধা দিয়ে গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ৭২ ঘন্টার পিল এর নাম গুলো
জানতে পেরেছেন। এই ইমারজেন্সি পিলের দাম ৬০ টাকা। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক
৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল এর নাম।
৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল
আমরা তিন দিনের ইমারজেন্সি পিল বা ৭২ ঘণ্টার ইমারজেন্সি পিলের নাম জানলাম।
ঠিক একইভাবে ৫ দিন বা ১২০ ঘন্টার ও ইমারজেন্সি পিল রয়েছে। ৫ দিনের
ইমারজেন্সি পিলের নাম যখনই আসে তখনই পিউলি ট্যাবলেটের নাম আমাদের মাথায় আসে।
এই পিউলি ইমার্জেন্সি পিলে রয়েছে লিপ্রিস্টাল এসিটেট ৩০ এমজি যেটি ৫ দিনের
ইমারজেন্সি পিল বা ১২০ ঘন্টা মেয়াদী ইমার্জেন্সি পিল হিসেবে পরিচিত। আমি আরো
কিছু ৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল এর নাম গুলো নিচে দিয়ে দিচ্ছি।
- Peuli
- 5X
- Ulicon
- EM-Pill
এইখান এ দেওয়া সকল ট্যাবলেটেই ৩০ এমজি লিপ্রিস্টাল এসিটেট আছে যেইটা আপনাকে ৫ দিন বা ১২০ ঘন্টার মধ্যে খেলে প্রেগনেন্ট হওয়া থেকে
রক্ষা করবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে গেছেন ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়, ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম,
ইমারজেন্সি পিল সম্পর্কে, ইমার্জেন্সি পিল কতবার খাওয়া যায়, ৭২ ঘন্টার পিল এর
নাম এবং ৫ দিনের ইমার্জেন্সি পিল সম্পর্কে। ইমার্জেন্সি পিল মাসে ২-৩ বার
পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে এর বেশি খেলে এই ইমার্জেন্সি পিল কোনো কাজ করবেনা।
আশা করি আপনি আপনার জানতে চাওয়া সঠিক তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। আপনার যদি অন্য
কোনো বিষয়ে জানার থাকে আমাদের কমেন্ট করতে পারেন অথবা আমাদের যোগাযোগ পেজ এ গিয়ে আমাদের দেওয়া ইমেইল এ ইমেইল করতে পারেন।