অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান - চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে সেটা আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। সেজন্য আজ অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান ও চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে লিখব। অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান অনেকগুলি রয়েছে। আমি আপনাদেরকে জানাবো অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান করবেন কিভাবে।
অল্প বয়সে চুল পাকলে সেটার জন্য আমাদের মনে চিন্তাভাবনা ঘুরে কিভাবে অল্প বয়সে
চুল পাকার সমাধান করব। আপনি যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে
আপনি জানতে পারবেন অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান ও চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়।
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান:
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান পেতে পারেন দুইটি উপায়ে। প্রথমত আপনার দৈনিন্দ
জীবনের চলাফেরা কিছুটা পরিবর্তন করে দ্বিতীয়টি হলো চিকিৎসার মাধ্যমে। এটির জন্য
আপনাকে আগে খুঁজে বের করতে হবে আপনার অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ। আপনি যদি
কারণগুলি খুঁজে বের করতে পারেন, তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন অল্প বয়সে চুল
পাকার সমাধান হিসেবে চিকিৎসা বেছে নিবেন নাকি আপনার দৈনিন্দ জীবনের চলাফেরা
পরিবর্তন করবেন।
আরো পড়ুন: চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান এর জন্য আপনাকে বুঝে
নিতে হবে আপনার কি করা উচিত। তবে আপনি যদি আপনার দৈনিন্দ জীবনের চলাফেরা কিছুটা
পরিবর্তন করেন সেক্ষেত্রে আপনি অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান টি তাড়াতাড়ি পাবেন।
আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান এর জন্য ডাক্তারি চিকিৎসা
ছাড়া অল্প বয়সে চুল পাকা ভালো হয় না।
গাজরের রস: আমরা জানি গাজর আমাদের চোখের জ্যোতি বাড়াই। শাকসবজি ও
ফলমূল আমাদের শরীরে কত রকম কাজ করতে পারে সেটি আমরা অনেকেই জানিনা। তার মধ্যে
গাজর ও একটি খুবই উপকারী এক ধরনের খাবার। গাজর যেমন চোখের জ্যোতি বাড়ায় তেমনি
ভাবে আমাদের চুল পড়া রোধেও এটি কার্যকরী উপাদান। গাজরকে সবজি হিসেবে ধরা হয়।
গাজর আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল ভিটামিন প্রদান করে। দুইটি গাজর
ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিয়ে একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি ও চিনি
যুক্ত করে গাজরের রস বানান। এটি আপনাদের চুল পাকারোধ করবে। এভাবে প্রতিদিন
একগ্লাস করে গাজরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
পেঁয়াজ বাটা: পেঁয়াজ এমন একটি সবজি বা মসলা যেটি ছাড়া আমাদের
তরকারি রান্না হয় না। তবে পেঁয়াজের গুনাগুন যে কতগুলো আছে সেটা আমরা অনেকেই
জানিনা। আপনারা প্রতিদিন ৪ টি থেকে ৫ টি পেঁয়াজ নিয়ে আগে খোসা ছাড়িয়ে নিবেন।
এরপর পেঁয়াজগুলো সুন্দরভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এরপর পেঁয়াজ গুলো
বেটে নিবেন। এ পেঁয়াজ বাটা গুলো আপনার চুলের গোড়ায় লাগাবেন। এটি খুবই কার্যকরী
একটা উপাদান। এটি ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ফলাফল পাবেন।
লেবুর রস ও আমলকির গুঁড়া মিশ্রণ: লেবু ও আমলকি চেনে না এমন মানুষ
হয়তো বা খুঁজে পাওয়া যাবে না। লেবু ও আমলকি আমাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী দুইটা
ফল। যাদের ভুড়ি আছে, হার্টের প্রবলেম আছে তাদের জন্য লেবু ও আমলকি খুবই
কার্যকরী। ঠিক একইভাবে লেবু ও আমলকি অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান দিতে পারে
আমাদের। আপনারা আমলকির গুড়া কিনে পরিমাণ মতো লেবুর রস দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এরপর এই পেস্ট টি গোসল করার ৪০ মিনিট পূর্বে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর
গোসল করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যেই আপনার চুল পাকা আস্তে আস্তে কমে
যাচ্ছে।
দুশ্চিন্তা: দুশ্চিন্তা এমন একটি খারাপ জিনিস যেটি আমাদের শরীর আস্তে
আস্তে ধ্বংস করতে থাকে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। যেটি
আমাদের দেশে হার্টের সমস্যার জন্য দুশ্চিন্তা করা প্রধান কারণ। দুশ্চিন্তা আমাদের
শরীরের অনেক ক্ষতি করে। আর অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া এটার জন্যেও দুশ্চিন্তা
দায়ী। আপনি যদি চুল পাকা উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে দুশ্চিন্তা করা বন্ধ করে দিন।
হাসিখুশি ভাবে চলাফেরা করুন দেখবেন এমনি এমনি আপনার অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান
পেয়ে গেছেন।
পুষ্টিহীনতা: পুষ্টিহীনতা বলতে আমাদের অপুষ্টি জনিত খাবার খাওয়া
বুঝায়। যদি কোন মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিযুক্ত খাবার না খায় তাহলে তাদের
বেশ কিছু অসুস্থতা দেখা দেয়। যার মধ্যে অল্প বয়সে চুল পাকা এটি একটি অসুস্থতা।
তাই চেষ্টা করবেন সবসময় ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ার। প্রচুর পরিমাণ আয়রন
জাতীয় খাবার, ক্যালরি জাতীয় খাবার এবং মিনারেল জাতীয় খাবার খাওয়ার।
জেনেটিক সমস্যা: জেনেটিক সমস্যা বলতে বংশগত সমস্যা কে বুঝাই। যদি
আপনার বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি এদের কারো অল্প বয়সে চুল পেকে থাকে সে
ক্ষেত্রে আপনারও অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। আপনি যদি জেনেটিক সমস্যা হয়
তাহলে অবশ্যই এটি ডাক্তারি চিকিৎসা ছাড়া ঠিক করা প্রায় অসম্ভব। যদি আপনি
জেনেটিক সমস্যা বুঝতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত ভালো একটি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ
করুন।
ঘুমের ঘাটতি: বিশেষ করে অল্প বয়সি ছাত্র-ছাত্রীরা রাত জেগে পড়াশোনা
করে। তাদের এই রাত জাগার কারণে প্রচুর পরিমাণে ঘুমের ঘাটতি হয়। যেখান থেকে আপনার
অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন রাত ১১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাবার
এবং ঘুম থেকে ভোরবেলা জেগে উঠার।
আশা করি অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ কি কি হতে পারে আপনারা তা বুঝতে
পেরেছেন এবং অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান কিভাবে পাবেন সেটিও বুঝে গেছেন। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় আমরা কিভাবে পেতে পারি।
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়:
বেশ কিছু চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় গুলো আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের নিজের
ভুলেই আমাদের অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। আমরা যদি আমাদের চলাফেরা কিছুটা পরিবর্তন
করি তাহলে চুল পাকা থেকে মুক্তি পেতে পারি। চলুন জেনে নি চুল পাকা থেকে মুক্তির
উপায় গুলো কি কি।
টেনশন বা স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন: টেনশন বা স্ট্রেস আমাদের শরীরে
ওজন কমে দেয়। হৃদপিন্ডের সমস্যা করে আরো অনেক সমস্যা তৈরি করে। টেনশন বা স্ট্রেস
এর জন্য অল্প বয়সে আমাদের চুল পাকা প্রধান লক্ষণ। তাই চেষ্টা করবেন টেনশন বা
স্ট্রেস থেকে দূরে থাকার। দরকার হয় হাসি মজার ভিডিও দেখুন এবং বন্ধু-বান্ধবের
সাথে আড্ডা দেন। টেনশন বা স্ট্রেস থেকে যত দূরে থাকবেন আপনার চুল পাকা বাদ দিয়েও
শরীরের আরও রোগ হওয়া থেকে মুক্তি পাবেন।
মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার: আমাদের শরীরের জন্য মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার অধিক
মাত্রায় জরুরী। কেননা মিনারেল যুক্ত খাবার আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টি উপাদান
শক্তি তৈরি করে। যে শক্তিটা অল্প বয়সে চুল পাকতে বাধা দেয়। এক কথায় বলতে গেলে
মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান ও চুল পাকা থেকে মুক্তি করে।
ব্যায়াম করা: আমাদের শরীরের সুঠাম রাখতে ব্যয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম।
ব্যায়াম করলে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিকভাবে পুরো শরীরে চলাচল করতে
পারে। কেননা রক্ত যদি আপনার মাথায় ভালোভাবে উঠানামা না করে সেক্ষেত্রে মাথার ওপর
দিয়ে গ্যাস বের হতে পারে ও অল্প বয়সে চুল পেকে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম
মত ব্যায়াম করুন।
আরো পড়ুন: MM kit খাওয়ার কত দিন পর মাসিক হয়
ভিটামিন ই ও ভিটামিন বি: আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের জন্য বিভিন্ন
ভিটামিন কার্যকরী। তার মধ্যে ভিটামিন ই ও ভিটামিন বি আমাদের চুল ভালো রাখায় অনেক
বড় একটি অবদান রাখে। তাই চেষ্টা করবেন ভিটামিন ই ও ভিটামিন বি জাতীয় খাবার বেশি
খাওয়ার।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম: আমাদের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৬ ঘন্টা বা ৬
ঘন্টার বেশি ঘুমানোর প্রয়োজন। এর থেকে যদি কম ঘুমায় সেক্ষেত্রে আমাদের শরীরের
ওজন কমে যাবে এবং বিভিন্ন রকমের রোগ শরীরে দেখা দিবে। সেসব রোগের মধ্যে অল্প
বয়সে চুল পাকা ও একটি রোগ। তাই চেষ্টা করুন ৬ ঘন্টা বা ৬ ঘন্টার বেশি ঘুমানো।
প্রোটিনযুক্ত খাবার: ভিটামিন ও মিনারেল যেমন আমাদের শরীরে জন্য খুব
প্রয়োজন তেমনি ভাবে প্রোটিনযুক্ত খাবার আমাদের বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে দূরে
রাখে। আপনি প্রতিদিন ২৫০ গ্রামের উপরে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন। এতে করে আপনি
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান ও চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় পেয়ে যাবেন।
ধূমপান ত্যাগ করা: বর্তমানে অল্প বয়সী ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে
গেছে বেশি। যাদের মধ্যে অধিকাংশ ধূমপায়ী। ধূমপান ক্যান্সারের প্রধান কারণ। তাই
চেষ্টা করবেন ধূমপান করে থাকলে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা: আমরা ছোটবেলায় পড়ে এসেছি পানির অপর
নাম জীবন। আপনি যত বেশি পানি খাবেন আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গ ততো বেশি ভালো
থাকবে। বেশি বেশি পানি পান করলে আমাদের ত্বক ও ভালো থাকে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪
লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন। তাহলে অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান ও চুল পাকা
থেকে মুক্তি পাবেন।
অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস:
আসলে অল্প বয়সে আমাদের অনেকের চুল পেকে যায়। এতে করে আমরা আমাদের বয়স কম
দেখানোর জন্য আমাদের পেকে যাওয়া সাদা চুলে কালো রঙের কালার করি। যেটি আমাদের
ইসলামের বিধানে আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হারাম হিসেবে ঘোষিত করেছেন।
একটি হাদিসে এসেছে, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এটিও বলেছেন একটা সময় আসবে যে শেষ
জামানায় বা শেষ সময়ে একদল মানুষেরা থাকবে যারা কবুতরের বুকের নেয় কালো রঙের
খেজাব বা কালার করবে। অবশ্যই এই দলের মানুষেরা জান্নাতের ঘ্রান ও পাবে না।
আরো পড়ুন: হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মোট কতটি বিয়ে করেছিলেন
তবে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পেকে যাওয়া সাদা চুলের জন্য বলে
গিয়েছেন পাকা চুলে মেহেদি দিতে। এতে করে চুল দেখতে আরো সুন্দর লাগবে। চুলে
মেহেদি দেওয়া আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অনুমোদন দিয়ে গেছেন।
সেজন্য আপনারা কখনোই অল্প বয়সে চুল পেকে সাদা হয়ে গেলে কালো কালার করবেন না।
এতে করে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অমান্য করা হবে। আমাদের নবীর
উপর সম্মান রেখে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ রেখে সব সময় চেষ্টা করবেন নবীজির বলে
যাওয়া প্রত্যেকটি আদেশ ও নিষেধ মেনে চলার।
চুল পাকা বন্ধ করার তেল:
আমাদের স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে ও শক্তি অর্জনের জন্য আমাদের যেমন খাবারের
প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনিভাবে চুল সতেজ সুন্দর রাখতে চুলে তেল ব্যবহার করতে হয়।
তেল কে আপনি চুলের খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। চুল পাকা বন্ধ করার তেল বাজারে আপনি অনেক ব্র্যান্ডের পাবেন। এর মধ্যে কিছু তেল কাজ করে আর
বাকিগুলো করে না। আসুন আলোচনা করি চুল পাকা বন্ধ করার তেল নিয়ে।
নারিকেল তেল ও লেবুর রস: আমরা এমনিতেই চুলের সৌন্দর্যের কারণে
নারিকেল তেল অনেকে ব্যবহার করি। এই নারিকেল তেল আমাদের অল্প বয়সে চুল পাকার
সমাধান দিতে পারে। চলুন তাহলে বলি এই নারিকেল তেল কিভাবে তুলে দিলে চুল পাকা বন্ধ
হয়ে যাবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ৫ চা চামচ নারিকেল তেল ও ৩ চা চামচ লেবুর
রস নিয়ে একসাথে মিশ্রণ করুন। এবারে মিশ্রণটি আপনার মাথায় চুলের গোড়ায় সুন্দর
করে মালিশ করে দিন। এতে করে আপনার চুল পাকা বন্ধ হয়ে যাবে সাথে সাথে চুলের খুশকি
দূর করবে ও চুল ঝলমলে করবে।
আরো পড়ুন: মুখের মেছতা দূর করা ক্রিমের নাম
তিলের তেল: আমাদের বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে তিল উৎপাদন হয়। যে
কারণে তিল খুবই সহজলভ্য একটি এক ধরনের ফসল করা যায়। আপনি বাজারে এই তিলের তেলও
পেয়ে যাবেন। সাদা চুল কালো করতে অথবা পাকা চুল কালো করতে বড় বড় ডাক্তার-রা
প্রেসক্রিপশনে এই তিলের তেল দেওয়ার কথা লিখে থাকেন। এই তিলের তেল প্রতিদিন ৩০
মিনিট করে চুলের গোড়ায় দিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। কয়েক
দিনের মধ্যে দেখবেন আপনার চুল কালো হতে শুরু করেছে।
বাদামের তেল: আমরা হয়তোবা অনেকেই জানিনা বাদাম থেকেও তেল হয়। আমরা
অনেকেই জানি বাদাম একমাত্র খাবার জিনিস। কিন্তু বাদামের অনেক গুনাগুন রয়েছে।
বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, প্রোটিন, সেলেনিয়াম,
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং
ফ্যাটি অ্যাসিডসহ আরও অনেক কিছু। অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান এর জন্য বেশিরভাগ
ডাক্তার-রা বাদামের তেল দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখেন।
প্রতিদিন রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরিমাণ মতো বাদামের তেল সুন্দর করে চুলের
গোড়ায় গোড়ায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন। চুলের গোড়ার চামড়ায় যেন বাদামের তেলটি
ভালোভাবে লেগে থাকে। কয়েক দিনের এইভাবে ব্যবহার করুন দেখবেন আপনি অল্প বয়সে চুল
পাকার সমাধান টি পেয়ে গেছেন।
লেখকের শেষ কথা:
প্রিয় পাঠক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন করার জন্য। আশা করি আজকের
এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি জেনে গেছেন অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান, চুল পাকা থেকে
মুক্তির উপায়, অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস ও চুল পাকা বন্ধ করার তেল সম্পর্কে।
আপনার যদি অন্য কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করুন অথবা
আমাদের যোগাযোগ পেজে গিয়ে আমাদের দেওয়া ইমেইলে আপনি ইমেইল করতে পারেন। নিত্য নতুন
স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি নিয়মিত ভিজিট করুন।